২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৩ হাজার বছরের ঘুম ভেঙে মিসরে জেগে উঠল এই স্ফিংস

- ছবি : সংগৃহীত

মিসর প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিস্ময়। সম্প্রতি সেখানে খনন চালিয়ে পাওয়া গেল তিন হাজার বছরের পুরনো মিসরীয় দেবতা স্ফিংস-এর এক মূর্তি যার মুখমণ্ডল ভেড়ার মতো।

সুইডেন এর লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার দল এবং মিসরীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় সংঘটিত এই খননকার্যে এ ছাড়াও পাওয়া গেছে হাইরো গ্লিফিক অক্ষরে লিখিত ৩ হাজার ৩৫০বছর আগেকার এক লিপি, বাজপাখির এক মূর্তি।

তাছাড়াও পাওয়া গেছে ডানাওয়ালা সূর্যের খোদাই করা এক ভাস্কর্য যা প্রাচীন মিসরে অমরত্ব এবং বীরত্বের প্রতীক হিসেবে মানা হত।

পাওয়া গেছে অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের স্ফিংস-এর এক মূর্তি যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে বড় মূর্তিটি নির্মাণের আগে ‘ডেমো’ হিসেবেই বানানো হয়েছিল।

স্ফিংস হল এক প্রাচীন অবয়ব যার উল্লেখ গ্রিক ও মিসরীয় সভ্যতায় পাওয়া যায়। গ্রিসে স্ফিংসকে নরকের রক্ষাকর্তা বা নরকের প্রহরী হিসেবে মানা হলেও মিসরে একে উপকারী দেবতা মনে করা হয়।
এর শরীরের পেছনের অংশ সিংহের মত, প্রায়ই পাখির মতো বড় ডানা থাকে এবং মুখমন্ডল সাধারণত মানুষের মুখ সদৃশ।

ভেড়ার মুখমণ্ডল বিশিষ্ট আবিষ্কৃত স্ফিংসটি ক্রিওসস্ফিংস নামে পরিচিত। এটির উচ্চতা ৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩.৫ মিটার। কালের প্রবাহে এর মাথার দিকটা বেশ কিছুটা ক্ষয়ে গিয়েছে।

ক্রিওসস্ফিংস সাধারণত রাজার ক্ষমতার ও শৌর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হত। বাঁকানো শিং, ভেড়ার মতো মুখ এবং সিংহের মতো শরীর সব মিলিয়ে অদ্ভুত এই দেবতা সে সময় রাজাদের বীরত্বের প্রমাণ হিসেবে পূজিত হত।

মনে করা হয় রোমান আক্রমণ স্ফিংস-এর মূর্তিগুলি ধ্বংস করে দেয়।

গবেষণাকারীরা মনে করছেন, বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত বহু প্রাচীন এই কর্মশালা মিসরের আঠেরোতম রাজবংশের ফারাও তুতেনখামেনের পিতামহ আমেনহোতেপ তৃতীয় –এর সময়কার।

ফারাও আমেনহোতেপ তৃতীয় মাত্র বারো বছর বয়সে রাজার আসনে বসেন। তার পত্নী রানী ‘তিয়ে’ তার শাসনকালে সর্বক্ষণ তার পাশে থেকে একসঙ্গে দেশ শাসন করেছেন। প্রায় চল্লিশ বছর তিনি মিসরে রাজত্ব করেন।

খ্রিস্টপূর্ব ১৩৫৪ সালে আমেনহোতেপ তৃতীয় মারা যান এবং দায়িত্ব পান তার পুত্র ফারাও আখেন্তান।

রহস্যে ভরা এই দেশটি বরাবরই পরিচালক থেকে লেখক, পুরাতত্তববিদ থেকে পর্যটক- সবারই পছন্দের। এখানে সবসময়ই ইতিহাস উঁকি দিচ্ছে প্রাচীন পিরামিডের গায়ে অথবা মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা হাজার হাজার বছর পুরনো মমির মাধ্যমে।তিন হাজার বছরের পুরনো এই কর্মশালা টি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে তাতে আরও একটি পালক যোগ হল। আনন্দবাজার।


আরো সংবাদ



premium cement
পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে সব আসনেই জয় তৃণমূলের প্রয়োজনে ইটনা-মিঠামইন সড়ক ভাঙা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কেন ভোলা উচিত নয় কপ-২৯ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক নরসিংদীতে পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার আড়াইহাজারে অটোরিকশার বেপরোয়া গতিতে গৃহবধূর মৃত্যু মহারাষ্ট্রে জয়ের পথে এনডিএ রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা রাশিয়ার সেই আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে যা জানা গেছে বড়াইগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু

সকল